বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি (পর্ব -২)


(১)জ্ঞানী মূর্খকে চিনতে পারে কেননা সে জ্ঞানী। পক্ষান্তরে মূর্খ জ্ঞানীকে চিনতে পারে না, কেননা সে মূর্খ।
(২)তোমার স্ত্রীর রুচি বোধকে অবমূল্যায়ণ কর না। কারণ, সে তোমাকে প্রথম পছন্দ করেছে।

(৩)তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং বুদ্ধিমানের কাজ হল তর্কে না জড়ানো।
(৪)আহমকের সাথে তর্ক কর না। কারণ, মানুষ হয়ত দুজনের মাঝে পার্থক্য করতে ভূল করবে।
(৫)ভূল করা দোষের কথা নয় বরং ভূলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা দোষণীয়।
(৬)বুদ্ধির সীমা আছে কিন্তু বোকামীর কোন সীমা নেই।
(৭)বন্ধুত্ব একটি ছাতার ন্যায়। বৃষ্টি যতই প্রবল হয় ছাতার ততই প্রয়োজন পড়ে।
(৮)পা পিছলে পড়ে যাওয়া লজ্জার কথা নয়। বরং যথা সময়ে উঠে না দাঁড়ানোই লজ্জার ব্যাপার।
(৯)মানুষের সাথে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে যেও না। কারণ, বন্ধুত্ব স্থাপনই অর্থাপর্জনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
(১০)মানুষের সাথে সে রূপ আচরণ কর যেমন তারা পছন্দ করে। নিজের পছন্দ মাফিক আচরণ কর না।
(১১)তোমার পিঠে কেউ ততক্ষণ পর্ন্তত চড়তে পারবে না যতক্ষণ না তুমি পিঠ নিচু কর।
(১২)তুমি যতটা মূল্যবান ততটা সমালচানার পাত্র হবে।
(১৩)যে অধিকার আদায়ের পেছনে চেষ্টা চালানো হয় তা কখনই বৃথা যায় না।
(১৪)ইমাম মুসলিম (রহ) বলেন: “শরীরকে আরামে রেখে জ্ঞানার্জন করা সম্ভব নয়।”
(১৫)বেলাল বিন রাবাহ (রহ বলেন: “পাপ ছোট কি না তা দেখনা বরং দেখ যার অবাধ্যতা করছ তিনি কত বড়।
(১৬)রাফেঈ বলেন: “যদি তুমি দুনিয়াকে নতুন কিছু উপহার দিতে না পার তবে তুমি দুনিয়ার একটি বোঝা।”
(১৭)মিসরীয় সাহিত্যিক আব্বাস মাহমুদ আক্কাদ বলেন: “তিনটি ভাল বই একবার করে পড়ার চেয়ে একটি ভাল বই তিনবার পড়া বেশি উপকার
(১৭) পৃথিবীটা লবণাক্ত পানির মত। যতই তা পান করবে পিপাসা ততই বাড়বে।
(১৯)তুমি পাহাড়ের চুড়ার মত হইয়ো না। কারণ, এতে তুমি মানুষকে ছোট দেখবে আর মানুষও তোমাকে ছোট দেখবে।
(২০)চিরকাল অন্ধকারকে গালমন্দ না করে ছোট্ট একটি বাতি জ্বালানো অনেক ভাল।
(২১)সব কিছু জানা তোমার জন্য আবশ্যক নয়। কিন্তু যা কিছু বলছ তার সবটুকু সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
(২২)কুপে থুথু ফেলনা। কারণ, হয়ত কখনো তোমার এ কুপ থেকে পানি পান করার প্রয়োজন হতে পারে।
(২৩)গাছ থেকে যখন আপেল পড়ল তখন সবাই বলল, গাছ থেকে আপেল পড়েছে। কিন্তু সব মানুষের মধ্যে এক ব্যক্তিই শুধু জানতে চাইল কেন আপেলটি পড়েছে?
(২৪)(আর তার মাধ্যমেই আবিষ্কৃত হল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।)
(২৫)জীবন চলার পথে পড়ে আছে অসংখ্য পাথর। এতে তোমার চলার পথ যেন থেমে না যায়। বরং পাথরগুলো কুড়িয়ে তৈরি কর সাফল্যের সিঁড়ি।
(২৬)যে হিংসা করে সে সবার আগে নিজের ক্ষতি করে।
(২৭) আত্মতৃপ্তিতে ভোগা সংকীর্ণ জ্ঞানের পরিচয়।
(২৮) যে অল্পতে তুষ্ট থাকে তার কাছে এ পৃথিবীর সব কষ্ট সহজ হয়ে যায়।
(২৯) যদি নিজে নিজের ‘বিবেক’কে বড় মনে কর তবে শত্রু সৃষ্টি হবে আর যদি ‘হৃদয়’কে বড় কর তবে বন্ধু বৃদ্ধি হবে।
(৩০) যার ভুল হয় সে মানুষ আর যে ভুলের উপর স্থির থাকে সে শয়তান।
(৩১) বাকপটু ও নির্বোধের সাথে তর্কে যেও না। কারণ, বাকপটু তোমাকে কথায় পরাজিত করবে আর নির্বোধ তোমাকে কষ্ট দিবে
(৩২) সম্পদ আসে কচ্ছপের মত আর যায় হরিণের মত।
(৩৩) নির্বোধের কথার উত্তর না দেয়াই তার উত্তর।
(৩৪)চরিত্রের কারণেই অনেক সম্মানিত ব্যক্তি সম্মান হারিয়েছে আবার অনেক নগণ্য ব্যক্তি কুড়িয়েছে বিরাট সম্মান।
(৩৫) কোন ঘুমন্ত লোকের নিকট বসে থাকা আর কোন ঘুমন্ত লোকের পাশে না ঘুমানো ভদ্রতার ব্যপার।
(৩৬)যে কাউকে বিশ্বাস করে না তাকে কেউ বিশ্বাস করে না।
(৩৭) কোন মানুষকে সম্মান করা তার হৃদয়ের মনি কোঠায় প্রবেশের চাবির সমতুল্য।
(৩৮) কোন জিনিসই অতিরিক্ত হওয়া ভাল নয় দুটি জিনিস ছাড়া। এক: জ্ঞান দুই: ভদ্রতা।
(৩৯)বিপদে হা হুতাশ করা আরেকটি বিপদ।
(৪০) জ্ঞানীর সম্পদ হল তার জ্ঞান আর মূর্খের সম্পদ হল তার অর্থ।
(৪১) যদি বাঘের দাঁত বের হয়ে থাকতে দেখ তবে মনে কর না যে, সে হাঁসছে।
(৪২)জ্ঞানী আগে চিন্তা করে পরে কথা বলে আর নির্বোধ আগে কথা বলে পরে চিন্তা করে।
(৪৩) যে অন্যের বিপদাপদ দেখে তার নিকট নিজের বিপদ তুচ্ছ হয়ে যায়।
(৪৪) যার গোপনীয়তা প্রকাশ পেয়ে যায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়।
(৪৫) প্রকৃত বন্ধুরা তারকার মত। তারকা সব সময় দেখা যায় না কিন্তু সেগুলো আকাশেই থাকে।
(৪৬) ঘোড়াকে জোর করে পানিতে টেনে নেয়া সম্ভব। কিন্তু তাকে জোর করে পানি পান করানো সম্ভব নয়।
(৪৭) ঝাড়ুদারের পেশা হল আবর্জনা পরিস্কার করা। আর যারা তাদেরকে ঘৃণা করে তাদের পেশা হল: নোংরা ও আবর্জনা সৃষ্টি করা।
(৪৮) ব্যর্থ মানুষেরা দু প্রকার। এক প্রকার হল, যারা কাজের চিন্তা করেছে কিন্তু কাজ করে নি। আরেক প্রকার হল, যারা কাজ করেছে কিন্তু চিন্তা করে তা করে নি।
(৪৯) কথা বলার আগে বিষয় নির্বাচন করুন। আর বিষয় নির্বাচনে পর্যাপ্ত সময় নিন যাতে তা পরিপক্ব হয়। কারণ, মানুষের কথাগুলো ফলের মত। সেগুলো পরিপক্ব হতে পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন।
(৫০) ছোট খাট বিষয়ে বিতর্ক করলে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। কারণ, আমাদের মাঝে এমন অনেক লোক আছে যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের চেয়ে ছোট-খাট বিষয়গুলো সম্পর্কে বেশি জ্ঞান রাখে।
(৫১)মানুষ যখন কারো প্রশংসা করে তখন খুব কম লোকেই তা বিশ্বাস করে। কিন্তু যখন কিনা কারো বদনাম করা হয় তখন প্রায় সবাই তা বিশ্বাস করে।
(৫২) যখন অনেক উঁচু স্তরে পৌঁছে যাও তখন নিচের দিকে তাকাও যেন দেখতে পাও কারা তোমাকে এ পর্যায়ে পৌঁছতে সাহায্য করেছে। আর আকাশের দিকে তাকাও যেন আল্লাহ তোমার পদযুগল স্থির রাখেন। অর্থাৎ যেন আল্লাহ তোমার এ মর্যাদা ধরে রাখেন।
(৫৩) যখন হতাশা জীবনকে ঘিরে ফেলে তখন হতাশার সাগরে আশার সেতু রচনা করুন জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর।
(৫৪) মানুষ (তোমার কথায় বিরক্ত হয়ে) তাদের কান বন্ধ করার আগে তুমি নিজের মুখ বন্ধ কর আর মানুষ (তোমার বিরুদ্ধে) মুখ খোলার আগে নিজের কান খোল তবেই তুমি সফল মানুষ হবে।
(৫৫) যে ব্যক্তি দ্বিমুখী নীতি নিয়ে জীবন যাপন করে সে ব্যক্তি যখন মারা যায় তার কোন নীতিই থাকে না।
(৫৬) রাগ অবস্থায় যদি কথা বল তবে এমন কথা বলে ফেলতে পর যার জন্য তুমি সারা জীবন লজ্জিত থাকবে।
(৫৭) সচ্চরিত্র মানুষের অনেক খারাপ দিককে ঢেকে দেয় যেমন অসৎ চরিত্র অনেক ভাল দিককে ঢেকে দেয়।
(৫৮) তোমার শক্তিমত্তা যখন তোমাকে অন্যায়-অবিচারের দিকে আহবান করে তখন আল্লাহর শক্তিমত্তার কথা স্মরণ কর।
(৫৯) নীতি হীন মানুষ কাঁটা হীন ঘড়ির মত।
(৬০) মানুষের অস্থির ধমনীকে শান্ত করার জন্য উপযুক্ত সময়ে একটি সুন্দর কথা বলার চেয়ে কার্যকরী কোন চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয় নি।
(৬১) সততা একটি ছোট গাছের মত। সেটি লাগানোর পর পরিচর্যা নেয়া প্রয়োজন যেন তা শক্ত হয় ও বৃদ্ধি পায়।
(৬২) নম্রতার মাধ্যমে যা অর্জন করা যায় কঠোরতা মাধ্যমে তা অর্জন করা যায় না।
(৬৩) বেশি কৌতুক করলে ব্যক্তিত্ব চলে যায় আর বেশি হাসলে প্রভাব ক্ষুণ্ণ হয়।
(৬৪) পৃথিবীতে যত পাত্র আছে তাতে কিছু রাখা হলে তার স্থান ছোট হয়ে আসে। তবে জ্ঞানের পাত্র এর ব্যতিক্রম। এতে যতই জ্ঞান ঢালা হয় তত তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
(৬৫) মূর্খতার মত দরিদ্রতা আর জ্ঞানের মত সম্পদ কিছু নেই
(৬৬) লোকমান (রহ বলেন: মানুষ যখন গর্ব করে সুন্দরভাবে কথা বলার মাধ্যমে; তুমি তখন গর্ব কর নীরবতা সহকারে অন্যের কথা সুন্দরভাবে শোনার মাধ্যমে।
(৬৭) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুকাফ্ফা বলেন: তুমি যদি করো উপকার কর তবে সাবধান! কখনো তা তার কাছে উল্লেখ কর না। আর কেউ যদি তোমার উপকার করে তবে সাবধান! কখনো তা ভুলো না।
(৬৮) তিনি আরও বলেন: যা কিছু শোন সেগুলো থেকে সব চেয়ে ভাল কথাগুলো লিখে রাখ। আর যা কিছু লেখ সেগুলো থেকে সব চেয়ে ভালোকথা গুলো সংরক্ষণ কর আর যা কিছু শোন সেগুলো থেকে চেয়ে ভাল কথাগুলো মানুষকে বল।
(৬৯) যে ব্যক্তি কাউকে গোপনে উপদেশ দিল সে তাকে খুশি করল ও সুশোভিত করল আর যে ব্যক্তি প্রকাশ্যে কাউকে উপদেশ দিল সে যেন তাকে লাঞ্ছিত ও কলঙ্কিত করল।
(৭০) জনৈক জ্ঞানী বলেন: সব কিছুই ছোট আকারে শুরু হয় পাপ ছাড়া। কারণ, কেউ বড় পাপ করতে শুরু করলে আস্তে আস্তে তা তার নিকট ছোট মনে হয়। আর কোন কিছু অতিরিক্ত হলে তার মূল্য কমে যায় আদব বা ভদ্রতা ছাড়া। কারণ, আদব যতই বৃদ্ধি পায় তার মূল্য ততই বেড়ে যায়।
(৭১)জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি জ্ঞান কোথা থেকে অর্জন করেছেন? তিনি বললেন, অন্ধের কাছ থেকে। কারণ, সে মাটিতে পা ফেলে না লাঠি দ্বারা তা ভালভাবে পরীক্ষা না করে।
(৭২) জনৈক দার্শনিক বলেন: মানুষ তিন প্রকার। একশ্রেণীর মানুষ হল খাদ্যের মত যাদের দরকার হয় সবসময়। আরেক শ্রেণীর মানুষ হল, ওষুধের মত যাদের দরকার হয় মাঝে মাঝে। আরেক শ্রেণীর মানুষ হল রোগের মত যা আপনার কখনোই দরকার হয় না।
(৭৩)পানি গর্ত সৃষ্টি করে। কিন্তু তা শক্তি দিয়ে নয় বরং অব্যাহত পতনের মাধ্যমে। ৫৭)কথা যদি অন্তর থেকে বের হয় তবে তা অন্তরে প্রবেশ করে। কিন্তু তা যদি শুধু মুখ থেকে বের হয় তা কান অতিক্রম করে না।
(৭৪) ফুল থেকে শিক্ষা নাও প্রফুল্লতা, ঘুঘু থেকে শিক্ষা নাও নম্রতা, মৌমাছি থেকে শিক্ষা নাও শৃঙ্খলা, পিপীলিকা থেকে শিক্ষা নাও কাজ আর মোরগ থেকে শিক্ষা নাও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা।
সুত্র : ইন্টারনেট

Comments