আমলকীর ঔষধি গুন


আমলকী
আমলকীর ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও 
১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকী খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।

ঔষধি গুণঃ
> আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।
> বমি বন্ধে কাজ করে।
> দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।
> এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।
> ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
> বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক  গড়ে তুলতেও আমলকী দারুণ সাহায্য করে। 
> আমলকীর গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকীর নির্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

আমলকী খাওয়ার উপকারিতাঃ
> ভিটামিন সি’সমৃদ্ধ আমলকীতে যথেষ্ট পরিমাণে এ্যান্টি অঙ্েিডন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
> আমলকী ত্বক, চুল ও চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো- কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িত  ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
> আমলকী হজমে সাহায্য করে ও স্টমাক এ্যাসিডে ব্যালেন্স বজার রাখে।
> আমলকী লিভার ভাল রাখে, ব্রেনের কার্যকলাপে সাহায্য করে ফলে মেন্টাল ফাংশনিং ভাল হয়।
> আমলকী বস্নাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
 > কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।হার্ট সুস্থ রাখে, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে তোলে।
> শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, মাসল টোন মজবুত করে।
> লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
> জ্বর, বদহজম, সানবার্ন, সানস্ট্রোক থেকে রৰা করে।
> আমলকীর জুস দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখার জন্য উপকারী। ছানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 
> ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যায় উপকারী।
> পেটের জ্বালা জ্বালাভাব কম রাখে। 
> লিভারের কার্যকলাপে সাহায্য করে, পাইলস সমস্যা কমায়।
> শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। 
> ব্রঙ্কাইটেসও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারীআমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে থেকে পারেন। 
> খিদে বাড়াতে সাহায্য করেএক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। 
> এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।আমলকীতে সামান্য লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর খেতে পারেন।
> খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার খেতে পারেন। হজমে সাহায্য করবে।
> আমলকী মাঝারি আকারে টুকরো করে নিয়ে ফুটনত্ম পানির মধ্যে দিন। আমলকী নরম হয়ে তরে নামিয়ে ঝরিয়ে লবণ, আদা কুঁচি, লেবুর রস মাখিয়ে রোদে রেখে দিতে পারেন। সারা বছরই ভাল থাকবে।

সুত্র: ইন্টারনেট 

Comments